M.A Mahmud Jewel
আলবালি ফার্নিচার
1,253 Views

আলবালি ফার্নিচার গড়ে ওঠার যাত্রা খুবই সাধারণ ছিল। আমি সবেমাত্র সামাজিক বিজ্ঞানে আমার স্নাতক ডিগ্রি পেয়েই ব্যবসায় লেগে পড়ি। আমি জানতাম যে আমি নিজের বলে দাবি করতে পারব এমন কিছু করতে চাই। যদিও আমার বাবার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের ব্যবসা ছিল, আমি সেকাহ্ন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আলবালি এর সূচনা করি। এখন আমার ব্যবসার প্রায় ১৬ বছর পার হয়ে গেছে।

আমার বাবার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কিছু খালি জায়গা ছিল এবং সেখানেই আমি প্রথম উৎপাদন করা শুরু করি। প্লাস্টিক থেকে শুরু করে ষ্টীলের ফার্নিচার বানানোর পরে, এখন আমরা কাঠের আসবাবপত্র বানানো শুরু করি। আমি যে কারণে এই ব্যবসা শুরু করি তা হল যে আমি বুঝতে পেরেছিলাম এই ধরনের পণ্যের একটি বর্ধনশীল বাজার আছে এবং আমি ভালো কিছু করতে পারব। আরও যেটা লক্ষ্য করেছিলাম তা হল আমি যে ধরনের ফার্নিচার বানাতে চেয়েছিলাম তা বাজারে ঐ মুহূর্তে ছিলনা। তাই আমি এই যাত্রা শুরু করি। কিন্তু আমার ব্যবসাও অনেক চরাই-উতরাই-এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আপনি যখন একটি ব্যবসার প্রধান উদ্যোক্তার স্থানে থাকবেন, তখন আপনার সকল বাঁধা মোকাবিলা করার সাহস থাকতে হবে। আর পাশাপাশি প্রয়োজন একটি শক্ত আশ্রয়ের জায়গা যা আমার স্ত্রী আমাকে সবসময় দিয়ে গেছে।

এতবছর কাজ করার পরে, আমি লাইটক্যাসল পার্টনার্সের ব্যাপারে জানতে পারি যখন তাদের একজন টিম মেম্বার বগুড়া আসে মাঠ পর্যায়ের পর্যালোচনা করতে। আমি তাদের সাথে যুক্ত হওয়ার পরে যে বিষয়টা জেনে উপকৃত হই তা হল যে সব ব্যবসার একটি অনলাইন উপস্থিতি দরকার। তাই আমদের আলবালি ফার্নিচারের এখন ফেসবুক পেজ আছে। এই পেজের মাধ্যমে আমরা আরও মানুষদেরকে আমদের ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট করতে পারি। কেননা কোভিড-১৯ এর সময় সবধরনের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদেরও তখন উৎপাদন একদম বন্ধ ছিল এবং প্রায় ৬ মাস ধরে আমরা কিছু করতে পারিনি। কিন্তু, এরপরে আমরা আস্তে আস্তে আবার ব্যবসা গুছিয়ে নিতে পেরেছি।

এখন আমার স্বপ্ন আমার ব্যবসাকে আরও বড় করা। আমি চাচ্ছি দেশের দক্ষিণেও যেন আমাদের পণ্য ছড়িয়ে পরে এবং যদি সুযোগ পাই তাহলে রপ্তানির দিকেও চেষ্টা করতে চাই। আমার লক্ষ্য তাই একটাই যে দেশের মাটিতে রপ্তানিযোগ্য ফার্নিচার তৈরি করা। ফার্নিচার যেগুলা বগুড়ার এক ঐতিহ্য হয়ে বেঁচে থাকবে। তাই আমরা এখন আমাদের পণ্যের মান আরও ভালো ও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।