একজন ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কারণে, আমি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি কোন একসময়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করব এবং তার কারনেই আমার পূর্বের চাকরিগুলো শু ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরেই ছিল। প্রথমে উন্নয়ন প্রকল্পে এবং পরে জুতা কোম্পানিতে কাজের মাধ্যমে আমি ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা লাভ করি। এই অর্জন গুলোই আমাকে নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে উৎসাহী করেছে। যার ফলস্বরূপ, ২০১৭ সাল থেকে লেইস ফুটওয়্যার বিডির সূচনা হয়।
আমি আমার পার্টনারের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম, যে আমার ব্যবসার প্রারম্ভিক দিনগুলোতে একদম ছোটভাইের মতো সাহায্য করে গিয়েছে। বর্তমানে সে জার্মানিতে বসবাস করছে। সে সবসময় আমার অনুপ্রেরণার প্রধান জীবনীশক্তি ছিল। এই ব্যবসা ও চাকরির আগে আমি আমার পরিবার নিয়ে সাভারে থাকতাম। কিন্তু আমার পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। এই সিদ্ধান্তেও আমার পার্টনার আমাকে পরামর্শ দিয়েছিল এবং বলেছিল, “ভৈরব অঞ্চলে আপনি ব্যবসা শুরু করে দেখতে পারেন কারণ কেননা সেখানে আপনার ব্যবসার ক্ষেত্র দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত এবং অতি সম্ভাবনাময়ী” তার আমার ও আমার ব্যবসার প্রতি এতো বিশ্বাস এবং উৎসাহ দেখে আমি ভৈরবে চলে আসি।
ব্যবসার প্রথমদিকে সবকিছুই অনেক অজানা ছিল। কারণ আমি আমার শৈশবকাল কাটিয়েছিলাম রাজশাহীতে, এরপরে অনেকটা সময় সাভারে থেকেছি। তাই আমার ভৈরব সম্পর্কে ধারণা ছিল না বললেই চলে। আমি জানতাম যে আমি এখানে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারব কিন্তু কতটা ভালোভাবে পারব, টা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। পরিবেশগত সম্পদ, রাজনৈতিক সমস্যা এবং অন্যান্য অনেক কারণও আমার ব্যবসাহ্র পথকে বন্ধুর করে দেয়। কিন্তু এই মুহুর্তে, ৪ বছরেরও বেশি সময় পরে, আমি এটা বলতে পেরে খুশি যে আমি আমার পণ্যগুলি নামীদামী ব্র্যান্ড যেমন বাটা, এপেক্স এর কাছে সরবরাহ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি ঢাকার পাইকারি বাজারের একজন নিয়মিত জুতা প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী। এমনকি আমার পণ্যের কাঁচামালও আমি ঢাকা থেকেই সংগ্রহ করি। এখন আমি জাপানে রপ্তানি করছি এবং খুব শীঘ্রই পোল্যান্ডেও রপ্তানি শুরু করার কথা ভাবছি।
লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সাথে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে সুইসকন্টক্টের মাধমে, যার জন্য আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। যদিও করোনার সময়কালে আমার ফ্যাক্টরি প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ ছিল এবং আমার মোটা অংকের টাকার ক্ষতিও হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হচ্ছে। যার ফলে আমি আবার সাহস ফিরে পাচ্ছি। এখন, আমি এমন একজন ব্যক্তি হতে চাই যে আমার দেশের জুতা শিল্পকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে এবং বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।